মামলার এজহার থেকে রহস্যজনকভাবে বাদ পড়লো অন্যতম অভিযুক্ত অমিত সাহা - News247

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Monday, October 7, 2019

মামলার এজহার থেকে রহস্যজনকভাবে বাদ পড়লো অন্যতম অভিযুক্ত অমিত সাহা

নিউজ ডেস্কঃ বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হ'ত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আ'সামি করে চকবাজার থা'নায় একটি মা'মলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে চকবাজার থা'নার ভারপ্রাপ্ত কর্মক'র্তা (ওসি) আলী হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে একটি হ'ত্যা মা'মলা দায়ের করেছেন। মা'মলায় ১৯ জনকে আ'সামি করা হয়েছে।
এদিকে এই মা'মলা থেকে র'হস্যজনক ভাবে বাদ পড়েছে এই হ'ত্যাকা'ন্ডের অন্যতম অ'ভিযুক্ত বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ সম্পাদক অমিত সাহা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে শেরে- বাংলা হলের ২০১১ নং রুমে থাকতো যে রুমে আবরারকে ্নি'র্মমভাবে নি'র্যাতন করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবরারের একাধিক সহপাঠি অ'ভিযোগ করে বলেন, এই হ'ত্যাকা'ন্ডের সাথে আমিত সাহা সরাসরি সম্পৃক্ত কিন্ত র'হস্যজনকভাবে মা'মলার এজহার থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন্য পথ পত্রিকা ও টেলিভিশনেও তার সমপৃক্ততার খবর প্রচার করা হলেও তাকে আইনের আওতায় নেওয়া হয় নি। অনতিবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
এদিকে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের গঠিত দুই সদস্যের ত'দন্ত কমিটির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনটির বুয়েট শাখা থেকে ১১ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এই লিস্টের মধ্যেও তার নাম খুঁজে পাওয়া যায় নি।
অ'পরদিকে মা'মলার এক নম্বর আ'সামি করা হয়েছে মেহেদী হাসান রাসেল (২৪) কে। তিনি ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক। তার বাবার নাম রুহুল আমিন, গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের সালথা থা'নাধীন সূর্যদিয়া রাংগারদিয়ায়। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ৩০১২ নম্বর রুমের শিক্ষার্থী। দুই নম্বর আ'সামি করা হয়েছে মুহতাসিম ফুয়াদ(২৩) কে। তিনি ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সহ-সভাপতি। তার বাবার নাম আবু তাহের। গ্রামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়ার দৌলতপুর লাঙ্গলমোড়ায়। একই হলের ২০১০ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী। মা'মলার তিন নম্বর আ'সামি করা হয়েছে অনিক সরকার (২২) কে। ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। তার বাবার নাম আনোয়ার হোসেন। গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর থা'নাধীন বড়ইকুড়িতে। একই হলের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এ মা'মলার চার নম্বর আ'সামি ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (২২)। তার বাবার নাম মাকসুদ আলী। গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পবা থা'নাধীন চৌমহানীর কাপাসিয়ায়। একই হলের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। পাঁচ নম্বর আ'সামি- ইফতি মোশারফ সকাল (২১)। ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার উপ সমাজসেবা সম্পাদক। বাবার নাম ফকির মোশারফ হোসেন। স্থায়ী ঠিকানা রাজবাড়ী সদরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৯৫ নম্বর বাসা। একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষের ও বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচ।
মা'মলার ছয় নম্বর আ'সামি মনিরুজ্জামান মনির (২১)। ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সাহিত্য সম্পাদক। বাবার নাম মাহতাব আলী। গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থা'নাধীন ভাঙ্গারীপাড়ায়। একই হলের পানি সম্পদ বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। সাত নম্বর আ'সামি- মেফতাহুল ইস'লাম জিয়ন (২২)। ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার ক্রীড়া সম্পাদক। বাবার নাম শহিদুল ইস'লাম। গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর থা'নাধীন শঠিবাড়ী এলাকায়। একই হলের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ৮ নম্বর আ'সামি হলো মাজেদুল ইস'লাম (২১)। সাংগঠনিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঠিকানাও অ'জ্ঞাত। শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ম্যাটেরিয়াল অ্যান্ড ম্যাটার্লজিক্যাল বিভাগের ১৭তম ব্যাচ।
৯ নম্বর আ'সামি মোজাহিদুল ওরফে মোজাহিদুর রহমান (২১)। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সদস্য। ঠিকানা অ'জ্ঞাত। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ৩০৩ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী ও ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচ। ১০ নম্বর আ'সামি হলো- তানভীর আহম্মেদ (২১)। সাংগঠনিক পরিচয় ও ঠিকানা অ'জ্ঞাত। একই হলের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১১ নম্বর আ'সামি হলো হোসেন মোহাম্ম'দ তোহা (২০), সাংগঠনিক পরিচয় ও ঠিকানা অ'জ্ঞাত। একই হলের ২১১ নম্বর কক্ষের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১২ নম্বর আ'সামি হলো- জিসান (২১), সাংগঠনিক পরিচয় ও ঠিকানা অ'জ্ঞাত। একই হলের ৩০৩ নম্বর কক্ষের ছাত্র ও ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এ মা'মলার ১৩ নম্বর আ'সামি হলো- আকাশ (২১), সাংগঠনিক পরিচয় ও ঠিকানা অ'জ্ঞাত। শেরেবাংলা হলের ১০০৮ নম্বর কক্ষের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৪ নম্বর আ'সামি হলো- শামীম বিল্লাহ (২০), সাংগঠনিক পরিচয় ও ঠিকানা অ'জ্ঞাত। একই হলের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৫ নম্বর আ'সামি হলো- শাদাত (২০), সাংগঠনিক পরিচয় ও ঠিকানা অ'জ্ঞাত। একই হলের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৬ নম্বর আ'সামি হলো এহতেশামুল রাব্বি তানিম (২০), ছাত্রলীগের বুয়েট শাখা কমিটির সদস্য। ঠিকানা অ'জ্ঞাত। একই হলের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৭ নম্বর আ'সামি হলো- মোর্শেদ (২০), সাংগঠনিক পরিচয় ও ঠিকানা অ'জ্ঞাত। একই হলের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৮ নম্বর আ'সামি হলো- মোয়াজ (২০)। সাংগঠনিক পরিচয় ও ঠিকানা অ'জ্ঞাত। একই হলের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৯ নম্বর আ'সামি হলো- মুনতাসির আল জেমি (২০), ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সদস্য। ঠিকানা অ'জ্ঞাত। একই হলের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এর আগে, এই হ'ত্যাকা'ণ্ডে জ'ড়িত হিসেবে শনাক্ত করে বুয়েটের ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে পু'লিশ আ'ট'ক করেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অ'তিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদ (রাব্বি)-কে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার ম'রদেহ উ'দ্ধার করে পু'লিশ।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ম'র্গে আবরারের ময়নাত'দন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লা'শের ময়নাত'দন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছে'লেটিকে পি'টিয়ে হ'ত্যা করা হয়েছে।’
নি'হত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। সুত্রঃবাংলাদেশটুডে

No comments:

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages