ফেসবুকে প্রতিবাদী স্ট্যাটাসের জেরে খুন হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ। এ দিকে ফেনী নদীর পানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। ফেসবুকে তার শেষ স্ট্যাটাসটি ছিল এ চুক্তিবিরোধী। এরই জেরে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতার হাতে প্রাণ হারান এ মেধাবী ছাত্র। এ ঘটনাকে দেশের ইতিহাসে কালো দিনগুলোর একটি উল্লেখ করে ‘আবরার ফাহাদ দিবস’ ঘোষণার দাবি উঠেছে।
আবরারের মৃত্যুর দিন অর্থাৎ ৭ অক্টোবরকে ‘আবরার ফাহাদ দিবস’ ঘোষণার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রীতিমতো ঝড় উঠেছে।
আব্দুল্লাহ বুখারি নামে একজন ‘শহীদ ফাহাদ দিবস’ শিরোনামে ফেসবুকে লেখেন, ‘শহীদ আবরার ফাহাদ ইস মাই হিরো। ৭ অক্টোবরকে শহীদ ফাহাদ দিবস ঘোষণা দেওয়া হোক। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ফাহাদের আদর্শে বড় হোক। আমাদের ছেলে-মেয়েরা জানুক বাবা-মায়েদের সময়ে একজন সুপারম্যান ছিলেন, যিনি প্রতিবাদ করতে ভয় পেতেন না। ছাত্র সমাজ প্রতিবাদ করতে শিখুক।’
মারিয়া সিমি নামে আরেকজন ফেসবুকে লেখেন, ‘৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদ দিবস চাই। আবরার একজন শহীদ, তিনি দেশপ্রেমিক, দেশের পক্ষে কথা বলে দেশেরই কিছু ঘাতকের হাতে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।’
‘আবরার ফাহাদ দিবস’ ঘোষণার দাবিতে এমনই অসংখ্য স্ট্যাটাস ঘুরছে ফেসবুকে।
এ দিকে আবরার ফাহাদকে শহীদ উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ফেনী নদীর নাম ‘আবরার নদ’ রাখার দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার যুদ্ধে, দেশের মাটি, পানি রক্ষার যুদ্ধে প্রথম শহীদ আবরার ফাহাদ। তাই ফেনী নদীর নাম ‘আবরার নদ’ করার দাবি জানাই।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহত ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
No comments:
Post a Comment